১. নাম
এই সংগঠন এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ সংক্ষেপে এথিকস ক্লাব নামে পরিচিত হবে।
২. বৈশিষ্ট্য
এটি একটি অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিকামী স্বেচ্ছাসেবী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন।
৩. কার্যালয়
এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হবে।
৪. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সৎ, দেশপ্রেমিক, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, বিজ্ঞানমনস্ক, অসাম্প্রদায়িক, নৈতিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নতুন প্রজন্ম নির্মাণ।
৫. কার্যপরিধি
এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের কার্য-পরিধি সমগ্র দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী, ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠনসমূহ। পর্যায়ক্রমে বিশ্বব্যাপী সংগঠনের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে।
৬. প্রতীক
৭. পতাকা
৮. সদস্যপদ
ক) ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি, দল-মতনির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসী ১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব যেকোনো ব্যক্তি এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
খ) প্রত্যেক সদস্যের মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১০ টাকা, যা প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে পরিশোধযোগ্য।
গ) সদস্য হতে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তি জেলা বা শাখা সংসদের সভাপতি বরাবর নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি আবেদনকারীকে সদস্যপদ প্রদান করবেন।
ঘ) সদস্যপদ ত্যাগ করার অধিকার সব সদস্যের থাকবে। তবে পদত্যাগে ইচ্ছুক সদস্য পদত্যাগপত্রে তাঁর পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করবেন।
ঙ) এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সমর্থক সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ সংশ্লিষ্ট শাখা সংসদের সমর্থক সদস্য হিসেবে নির্দিষ্ট মাসিক চাঁদা পরিশোধ সাপেক্ষে প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
চ) এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সমর্থক সদস্যদের দায়িত্ব হবে ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট হারে মাসিক চাঁদা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় বুদ্ধি-পরামর্শ ও সমর্থন প্রদান করা।
৯. এথিক্স ক্লাব বাংলাদেশ এর গঠনপদ্ধতি নিম্নরূপ
ক) কেন্দ্রীয় সংসদ
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের পরিচালনা পরিষদ সারাদেশে এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই পরিচালনাকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বোচ্চ ১৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে।
খ) জেলা সংসদ
শাখা সংসদ এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের জেলা সংসদের জন্য সদস্য নির্বাচন করবে। নির্বাচিত সদস্যগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করবেন। জেলা সংসদ কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। জেলা সংসদের মোট সদস্যসংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২৩।
সভাপতি – ১ জন
সহসভাপতি – ৩ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
সহসাধারণ সম্পাদক – ৩ জন
কোষাধ্যক্ষ – ১ জন
সম্পাদকমণ্ডলী – ৭ জন
সদস্য – ৭ জন
মোট – ২৩ জন
গ) শাখা সংসদ
এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের শাখা সংসদ গঠিত হবে সংশ্লিষ্ট শাখার সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে। এই নির্বাচিত শাখা সংসদ, জেলা সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। শাখা সংসদের মোট সদস্যসংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২১।
সভাপতি – ১ জন
সহসভাপতি – ৩ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
সহসাধারণ সম্পাদক – ৩ জন
কোষাধ্যক্ষ – ১ জন
সম্পাদকমণ্ডলী – ৫ জন
সদস্য – ৭ জন
মোট – ২১ জন
উল্লেখ্য, একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগভিত্তিক একাধিক শাখা থাকতে পারবে এবং প্রতিটি শাখা সংসদের প্রাত্যহিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য থাকবে উপদেষ্টামণ্ডলী। এই উপদেষ্টামণ্ডলী গঠিত হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে। উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসংখ্যা হবে ৩ থেকে ৫। পেশাজীবী, ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠনের ক্ষেত্রেও উপদেষ্টামণ্ডলী থাকবে।
১০. কার্যাবলি
ক) এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংসদ, জেলা সংসদ ও শাখা সংসদ তার ঘোষণাপত্র ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের আলোকে নিয়মিতভাবে সভা, সমাবেশ, সেমিনার, আলোচনা সভা ইত্যাদির আয়োজন করবে। প্রতিবছর একবার জেলা সংসদের উদ্যোগে সদস্যদের সমাবেশ এবং প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সংসদ এথিকস ক্লাবের সব সদস্যের উপস্থিতিতে ঢাকায় একটি জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করবে। জাতীয় সমাবেশ থেকে এথিকস ক্লাবের বার্ষিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
খ) ১. এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সভাপতি সংগঠনের প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি সংগঠনের গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারার নিয়মাবলি প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তিনি সংগঠনের সভা আহবানের জন্য তাঁকে নির্দেশনা দেবেন। প্রয়োজনে নিজে সভা আহবান করবেন।
গ) ২. এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সহসভাপতি, সংগঠনের সভাপতির সকল কাজে সহায়তা করবেন। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহসভাপতি (ক্রম অনুসারে) সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ) ৩. সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে সভা আহবান ও প্রয়োজনে অন্যান্যের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করবেন। সমিতির সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সমন্বয় সাধন করবেন।
ঙ) ৪. এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সহসাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে সব কাজে সহায়তা করবেন। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহসাধারণ সম্পাদক (ক্রম অনুসারে) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) ৫. সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন কোষাধ্যক্ষ। তিনি তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করবেন এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবেন।
ছ) ৬. এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের কার্যকরী সংসদের সদস্যবৃন্দকে, সংসদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করতে হবে। তিনি অর্পিত কাজের জন্য কার্যকরী সংসদের কাছে দায়ী থাকবেন।
১১. তহবিল সংগ্রহ
ক) সদস্যদের মাসিক চাঁদা।
খ) দান, অনুদান, মঞ্জুরিসহ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাহায্য।
গ) সমর্থক সদস্যদের চাঁদা, দান, অনুদান বা আর্থিক সাহায্য। তবে নীতি-নৈতিকতাবর্জিত অসৎ, দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা যাবে না।
ঘ) কোনো অনুষ্ঠানের আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অনুষ্ঠান সমাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব সভাপতির কাছে পেশ করবেন।
ঙ) সব দান-অনুদান, সদস্য ফি ইত্যাদি সংগ্রহের মানি রিসিট শাখাসমূহকে কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হবে।
চ) প্রতিবছর একবার সংগঠনের হিসাব অডিট ফার্ম দ্বারা নিরীক্ষা করতে হবে। নিরীক্ষিত হিসাব অর্থবছরের শেষে জুলাই মাসের মধ্যে পেশ করতে হবে।
১২. শৃঙ্খলা ও বহিষ্কার
এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কোনো কাজ যদি কোনো সদস্য করেন, তাহলে উপযুক্ত তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত সদস্যকে সংগঠন থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। তবে বহিষ্কার কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
১৩. গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা
গঠনতন্ত্রের প্রাথমিক ব্যাখ্যা প্রদান করবেন শাখা সংসদের সভাপতি বা জেলা সংসদের সভাপতি। চূড়ান্ত ব্যাখ্যা প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সংসদ।
১৪. শাখা সংসদ, জেলা সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন করা।
১৫. এথিকস ক্লাবের প্রতিটি শাখা স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবে।
শপথ
আমি দেশ, জাতি, বিশ্ব মানবতার মঙ্গলার্থে শপথ করছি যে, আমি মিথ্যা কথা বলাসহ সব রকম অসৎ চিন্তা ও কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখব। একজন সৎ, দেশপ্রেমিক ও শ্রেয় মূল্যবোধসম্পন্ন মানবিক মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবো। সকল প্রকার দুর্নীতি ও প্রতারণা থেকে নিজকে মুক্ত রাখব। মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, অসাম্প্রদায়িক, সৎ নতুন প্রজন্ম সৃষ্টিতে নিজেকে নিয়োজিত রাখব। দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে আত্মনিয়োগ করব।